প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
কালবৈশাখী
গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-মে মাসে) বিকলের দিকে পূর্বভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বাংলাদেশে মাঝেমাঝে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাতসহ এক তীব্র ঝড় সংঘটিত হয়। একেই কালবৈশাখী বলে। ‘কাল’ অর্থ ‘অশুভ’ এবং বৈশাখ মাসে ঘটে বলে একে ‘কালবৈশাখী’ বলে৷ তবে কালবৈশাখী বলা হলেও শুধু বৈশাখ মাস নয়, ফাল্গুনের শেষ থেকে জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই ঝড়ের আগমন হয়।
কালবৈশাখী একটি আকস্মিক বায়ুপ্রবাহ। গ্রীষ্মকালের শুরুতে এপ্রিল-মে মাসে ছোটোনাগপুর মালভূমি ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসন্নিহিত অঞ্চল প্রখর সূর্যতাপে দ্রুত উত্তপ্ত হয়, ফলে সেখানে স্থানীয়ভাবে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে, সেই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রচণ্ড বেগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং উত্তরের শীতল বায়ু ছুটে আসে। এই দুই বিপরীতধর্মী বায়ুপ্রবাহের সংঘর্ষের ফলে এই ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়। কালবৈশাখীর ঘূর্ণবাত সাধারণত উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ছুটে আসে, তাই একে ইংরেজিতে ‘Nor Wester’ (নর-ওয়েস্টার) বলা হয়। কালবৈশাখীর বায়ু বেশ ঠান্ডা, তাই এই বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড উষ্ণতা একলাফে অনেকটা কমে যায়। গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে। কিন্তু, আরামদায়ক আবহাওয়া সৃষ্টি হলেও তীব্র ঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়। কালবৈশাখীর বৃষ্টিপাত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আউশ ধান ও পাটচাষের পক্ষে উপকারী হয়।
Comments
Post a Comment