বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
উপসাগরীয় স্রোত
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের নাম উপসাগরীয় স্রোত। সমুদ্রে প্রবাহিত স্রোতের অস্তিত্ব সর্বপ্রথম জানতে পারেন স্পেন দেশীয় নাবিক পনকে-ডি-লিওন। এই উপসাগরীয় স্রোত আবিষ্কারের মাধ্যমে, ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দের পরে, এই স্রোতের অস্তিত্ব ও প্রবাহপথ আবিষ্কার করেন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। এই স্রোতের উৎপত্তি মেক্সিকো উপসাগর—তৎকালীন এই ধারণা থেকেই এর নামকরণ হয় ‘উপসাগরীয় স্রোত’। আসলে, দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের উত্তর শাখা ও উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত ধারা আয়ন বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে এবং পরে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এই স্রোত ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বাধা পেয়ে তিনটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে—পশ্চিম গ্রিনল্যান্ড বা ইরমিঙ্গার স্রোত, উত্তর আটলান্টিক স্রোত ও ক্যানারি স্রোত। উপসাগরীয় স্রোতে জলের রং গাঢ় নীল এবং এর উষ্ণতা প্রায় ২৭° সেলসিয়াস। স্রোতটি প্রায় ৬৫ মিটার চওড়া এবং গভীরতা প্রায় ৯০০ মিটার। ফ্লোরিডা উপকূল অঞ্চলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিমি এবং প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৭ কোটি টন উষ্ণ জল প্রবাহিত হয়।
উপসাগরীয় স্রোতের উত্তর শাখা উত্তর আটলান্টিক স্রোত নামে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং দক্ষিণ শাখাটি পোর্তুগালের উপকূলে বাধা পেয়ে ক্যানারি স্রোত নামে উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের সঙ্গে মেশে। উপসাগরীয় স্রোত এবং উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত প্রবাহের উত্তর শাখা ইরমিঙ্গার স্রোত নামে উত্তরে প্রবাহিত হয়ে শীতল লাব্রাডর স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়।
Comments
Post a Comment