🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
উপসাগরীয় স্রোত
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের নাম উপসাগরীয় স্রোত। সমুদ্রে প্রবাহিত স্রোতের অস্তিত্ব সর্বপ্রথম জানতে পারেন স্পেন দেশীয় নাবিক পনকে-ডি-লিওন। এই উপসাগরীয় স্রোত আবিষ্কারের মাধ্যমে, ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দের পরে, এই স্রোতের অস্তিত্ব ও প্রবাহপথ আবিষ্কার করেন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। এই স্রোতের উৎপত্তি মেক্সিকো উপসাগর—তৎকালীন এই ধারণা থেকেই এর নামকরণ হয় ‘উপসাগরীয় স্রোত’। আসলে, দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের উত্তর শাখা ও উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত ধারা আয়ন বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে এবং পরে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এই স্রোত ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বাধা পেয়ে তিনটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে—পশ্চিম গ্রিনল্যান্ড বা ইরমিঙ্গার স্রোত, উত্তর আটলান্টিক স্রোত ও ক্যানারি স্রোত। উপসাগরীয় স্রোতে জলের রং গাঢ় নীল এবং এর উষ্ণতা প্রায় ২৭° সেলসিয়াস। স্রোতটি প্রায় ৬৫ মিটার চওড়া এবং গভীরতা প্রায় ৯০০ মিটার। ফ্লোরিডা উপকূল অঞ্চলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিমি এবং প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৭ কোটি টন উষ্ণ জল প্রবাহিত হয়।
উপসাগরীয় স্রোতের উত্তর শাখা উত্তর আটলান্টিক স্রোত নামে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং দক্ষিণ শাখাটি পোর্তুগালের উপকূলে বাধা পেয়ে ক্যানারি স্রোত নামে উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের সঙ্গে মেশে। উপসাগরীয় স্রোত এবং উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত প্রবাহের উত্তর শাখা ইরমিঙ্গার স্রোত নামে উত্তরে প্রবাহিত হয়ে শীতল লাব্রাডর স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়।
Comments
Post a Comment