ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
উপসাগরীয় স্রোত
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের নাম উপসাগরীয় স্রোত। সমুদ্রে প্রবাহিত স্রোতের অস্তিত্ব সর্বপ্রথম জানতে পারেন স্পেন দেশীয় নাবিক পনকে-ডি-লিওন। এই উপসাগরীয় স্রোত আবিষ্কারের মাধ্যমে, ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দের পরে, এই স্রোতের অস্তিত্ব ও প্রবাহপথ আবিষ্কার করেন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। এই স্রোতের উৎপত্তি মেক্সিকো উপসাগর—তৎকালীন এই ধারণা থেকেই এর নামকরণ হয় ‘উপসাগরীয় স্রোত’। আসলে, দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের উত্তর শাখা ও উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত ধারা আয়ন বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে এবং পরে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এই স্রোত ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বাধা পেয়ে তিনটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে—পশ্চিম গ্রিনল্যান্ড বা ইরমিঙ্গার স্রোত, উত্তর আটলান্টিক স্রোত ও ক্যানারি স্রোত। উপসাগরীয় স্রোতে জলের রং গাঢ় নীল এবং এর উষ্ণতা প্রায় ২৭° সেলসিয়াস। স্রোতটি প্রায় ৬৫ মিটার চওড়া এবং গভীরতা প্রায় ৯০০ মিটার। ফ্লোরিডা উপকূল অঞ্চলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিমি এবং প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৭ কোটি টন উষ্ণ জল প্রবাহিত হয়।
উপসাগরীয় স্রোতের উত্তর শাখা উত্তর আটলান্টিক স্রোত নামে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং দক্ষিণ শাখাটি পোর্তুগালের উপকূলে বাধা পেয়ে ক্যানারি স্রোত নামে উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের সঙ্গে মেশে। উপসাগরীয় স্রোত এবং উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত প্রবাহের উত্তর শাখা ইরমিঙ্গার স্রোত নামে উত্তরে প্রবাহিত হয়ে শীতল লাব্রাডর স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়।
Comments
Post a Comment