বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
হিমপ্রাচীর
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে সুমেরু অঞ্চল থেকে আগত লাব্রাডর স্রোতের শীতল ও গাঢ় সবুজ রঙের জল এবং উপসাগরীয় স্রোতের উষ্ণ ও গাঢ় নীল জল বেশ কিছু দূর পর্যন্ত পাশাপাশি কিন্তু বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এই দুই বিপরীতমুখী স্রোতের মাঝে একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা স্পষ্ট দেখা যায়, এই সীমারেখা হিমপ্রাচীর হিসেবে পরিচিত।
যদিও সমুদ্র স্রোতের ‘সবুজ’ বা ‘নীল’ রঙের সঙ্গে ‘হিম’ বা ‘প্রাচীর’ শব্দ দুটির সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। তাই ভিন্ন মত অনুসারে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত ও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত পাশাপাশি প্রবাহিত হওয়ায়, উষ্ণ স্রোতের উপরিভাগে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু, শীতল স্রোতের উপরিভাগে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে ঘনীভূত হয়ে ঘন কুয়াশা তৈরি করে। উভয় স্রোতের মিলনরেখা বরাবর ঘন কুয়াশা দূর থেকে প্রাচীরের মতো দেখায় যার দুইদিকে বিপরীতমুখী, ভিন্ন ধর্মী দুটি স্রোত প্রবাহিত হয়। তীব্র শীতলতার সংস্পর্শে প্রাচীর সদৃশ কুয়াশার আবরণকেই হিমপ্রাচীর বলে। বিপরীতমুখী দুই সমুদ্রস্রোতের উষ্ণতার পার্থক্যের জন্য এই অঞ্চলে প্রায়ই ঘন কুয়াশা ও প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। হিমপ্রাচীর এই অঞ্চলে সামুদ্রিক যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
Comments
Post a Comment