🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
মেরু বায়ু
মেরুবায়ু সাধারণত উভয় গোলার্ধে মোটামুটিভাবে ৭০°–৮০° অক্ষরেখার মধ্যে মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে সারা বছর ধরে প্রবাহিত হয়। উত্তর গোলার্ধে এই বায়ু উত্তর-পূর্ব মেরুবায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব মেরুবায়ু নামে পরিচিত। এই দুই বায়ুপ্রবাহ খুবই শীতল এবং শুকনো।
মেরুবায়ুর বৈশিষ্ট্য—
(১) দুই গোলার্ধেই মেরুবায়ু তাদের স্বাভাবিক গতিপথ থেকে প্রায় ৯০° পর্যন্ত বেঁকে যায়।
(২) উত্তর গোলার্ধে স্থানীয় আবহাওয়ার গোলযোগের জন্য অনেক সময়েই মেরুবায়ু বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
(৩) দক্ষিণ গোলার্ধে মেরুবায়ু অনেক বেশি নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়।
(৪) মেরুবায়ু উত্তর গোলার্ধে ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁ দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
(৫) শীতকালে মেরুবায়ুর প্রভাব বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বেশি হয়।
(৬) মেরুবায়ু বরফে ঢাকা মেরু অঞ্চল থেকে আসে বলে এই বায়ু অসম্ভব ঠান্ডা ও শুকনো।
(৭) মেরুবায়ু দুই মেরুবৃত্তে তুষার ঝড়ের সৃষ্টি করে।
(৮) জলদস্যু ভাইকিংরা উত্তর ইউরোপ (নরওয়ে, সুইডেন) থেকে উত্তর-পূর্ব মেরুবায়ুর গতিপথ ধরে উত্তর আমেরিকায় অভিযান করত এবং পশ্চিমাবায়ুর গতিপথ ধরে আবার দেশে ফিরে আসত। এখনকার দিনেও ইউরোপ থেকে বিমানে আমেরিকায় যেতে হলে মেরুবায়ুর গতিপথ অনুসরণ করতে হয়।
(৯) এই বায়ু উচ্চ অক্ষাংশীয় অঞ্চলে (৭০°-৮০°) পূর্বদিক থেকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ু অত্যন্ত শীতল অঞ্চল থেকে প্রবাহিত হয় বলে, প্রভাবিত অঞ্চলের উষ্ণতা অনেক কমে যায় এবং শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে ও তুষারঝড় হয়।
Comments
Post a Comment