বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
ঘূর্ণবাত বৃষ্টি বা ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি
জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নিম্নচাপের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে ওপরে উঠে শীতল হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে ঘূর্ণবাত বা ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি বলে। কোনো স্থানে প্রবল নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে চারদিক থেকে ছুটে আসা শুকনো, ঠান্ডা ও ভারী বাতাসের ওপর জলীয়বাষ্পপূর্ণ গরম বাতাস উঠে যাওয়ার জন্যই ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণবাত বৃষ্টি সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে ঝিরঝির করে পড়ে। পৃথিবীর দুটি পৃথক অঞ্চলে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি বৃষ্টি হয়ে থাকে।
(১) ক্রান্তীয় ও উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের ঘূর্ণবৃষ্টি—
স্বল্প পরিসর স্থানে বায়ুর উষ্ণতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু কুণ্ডলী আকারে পাক খেতে খেতে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে। ওই বায়ু উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে ঊর্ধ্বগামী হলে, বায়ুস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
উদাহরণ–পশ্চিমবঙ্গে এপ্রিল-মে মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য এই প্রকার বৃষ্টিপাত ঘটে।
(২) শীতল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের ঘূর্ণবৃষ্টি—
উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু ও শীতল ও শুষ্ক বায়ু বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে মুখোমুখি হলে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু, শীতল ও ভারী বায়ুর ওপরে উঠতে থাকে এবং ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। দুই ভিন্নধর্মী বায়ুপ্রবাহের সংযোগরেখা বা সীমান্ত অঞ্চলে এই বৃষ্টিপাত ঘটে বলে একে সীমান্ত বৃষ্টি (Frontal Rain)-ও বলা হয়। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ঘূর্ণবৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ ধরে টিপটিপ করে পড়ে। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই ঘূর্ণবৃষ্টি দেখা যায়।
উদাহরণ–ইউরোপের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই প্রকার বৃষ্টিপাত ঘটে।
Comments
Post a Comment