🧱 হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ হরপ্পা সভ্যতা (আনুমানিক ২৬০০ - ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা সিন্ধু সভ্যতা নামেও পরিচিত, প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম উন্নত এবং সুপরিকল্পিত নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। হরপ্পা, মহেন-জো-দারো, লোথাল, কালিবঙ্গান এবং ধোলাভিরা-এর মতো স্থানগুলিতে খননকার্যের ফলে যে নগর পরিকল্পনা উন্মোচিত হয়েছে, তা এই সভ্যতার প্রকৌশল ও পৌর প্রশাসনের দক্ষতা প্রমাণ করে। এটি সমসাময়িক মিশরীয় বা মেসোপটেমীয় সভ্যতার নগর পরিকল্পনা থেকেও অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও আধুনিক ছিল।
অশ্ব অক্ষাংশ
সাধারণভাবে ২৫°–৩৫° উত্তর অক্ষাংশকে অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়। উত্তর-গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী ২৫°–৩৫° উত্তর অক্ষরেখার মধ্যবর্তী কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ের বায়ু নিম্নমুখী হওয়ায় এর কোনো পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না। এই অঞ্চলে তাই ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোনো বায়ুপ্রবাহ পরিলক্ষিত না হয়ে এক শান্তভাব বিরাজ করে, এইজন্য এই অঞ্চলকে কর্কটীয় শান্তবলয় বলে।
কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ে অর্থাৎ, উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী ২৫°–৩৫° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ঊর্ধ্বাকাশ থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিম্নগামী হয়। তাই এই অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ু প্রবাহিত হয় না। ফলে বায়ুমণ্ডলে শান্তভাব অনুভূত হয়। তা ছাড়া, উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আয়ন বায়ু নিরক্ষরেখার দিকে এবং পশ্চিমা বায়ু মেরুবৃত্ত প্রদেশের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় এই অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ অত্যন্ত অনিয়মিত ও অনিশ্চিত। এইসব কারণে আগেকার দিনে পালতোলা জাহাজগুলি এই অঞ্চলে এসে বায়ুপ্রবাহের অভাবে গতিহীন হয়ে পড়ত। কিংবদন্তি অনুসারে, ইউরোপ থেকে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে ঘোড়া বোঝাই জাহাজ পাড়ি দেবার সময় এই শান্তবলয়ে অচল হয়ে পড়ত। তখন জাহাজকে হালকা করার জন্য এবং খাদ্য ও পানীয় বাঁচাবার জন্য তারা ঘোড়াগুলিকে সমুদ্রে ফেলে দিত। এই ঘটনা থেকেই কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় অশ্ব অক্ষাংশ নামে পরিচিত। যদিও নামকরণের পিছনে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনার প্রমাণ নেই।
অবশ্য কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে, উত্তর গোলার্ধের কর্কটীয় শান্তবলয়ের (২৫°–৩৫° উত্তর অক্ষাংশ) সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ গোলার্ধের মকরীয় শান্তবলয়টিকেও (২৫°–৩৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ) অশ্ব অক্ষাংশ বলা যায়।
Comments
Post a Comment