নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
ল্যাব্রাডর স্রোত
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত একটি শীতল স্রোতের নাম ল্যাব্রাডর স্রোত। কানাডার উত্তর-পূর্বে ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের উপকূলে প্রবাহিত হওয়ায় এই স্রোতের নাম ল্যাব্রাডর স্রোত। উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর থেকে দুটি শীতল স্রোত গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিম ও পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লাব্রাডর উপদ্বীপের কাছে মিলিত হয়; এই মিলিত শীতল স্রোতকে লাব্রাডর স্রোত বলে।
পূর্ব গ্রিনল্যান্ড স্রোত এবং গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে প্রবাহিত সুমেরু স্রোত গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণে কানাডার ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের কাছে মিলিত হয় এবং শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত রূপে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে উত্তরদিক থেকে আগত শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত ও দক্ষিণদিক থেকে আগত উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত পাশাপাশি, কিন্তু বিপরীত দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। অবশেষে, শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের ভারী জল, উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের হালকা জলের নীচে নেমে গেলে ল্যাব্রাডর স্রোতের অস্তিত্ব শেষ হয়। প্রকৃতপক্ষে, ল্যাব্রাডর স্রোতই মেরু অঞ্চল থেকে হিমশৈল বয়ে এনে নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে গ্র্যান্ড ব্যাংক নামে মগ্নচড়া ও মৎস্যক্ষেত্রের সৃষ্টি করে। শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের জন্যই কানাডার উত্তর-পূর্ব উপকূল বছরের প্রায় নয় মাস বরফে ঢাকা থাকে। এই স্রোতের দৈনিক গড় গতিবেগ প্রায় ২৮ কিমি।
Comments
Post a Comment