বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
ল্যাব্রাডর স্রোত
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত একটি শীতল স্রোতের নাম ল্যাব্রাডর স্রোত। কানাডার উত্তর-পূর্বে ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের উপকূলে প্রবাহিত হওয়ায় এই স্রোতের নাম ল্যাব্রাডর স্রোত। উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর থেকে দুটি শীতল স্রোত গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিম ও পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লাব্রাডর উপদ্বীপের কাছে মিলিত হয়; এই মিলিত শীতল স্রোতকে লাব্রাডর স্রোত বলে।
পূর্ব গ্রিনল্যান্ড স্রোত এবং গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে প্রবাহিত সুমেরু স্রোত গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণে কানাডার ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের কাছে মিলিত হয় এবং শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত রূপে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে উত্তরদিক থেকে আগত শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত ও দক্ষিণদিক থেকে আগত উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত পাশাপাশি, কিন্তু বিপরীত দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। অবশেষে, শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের ভারী জল, উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের হালকা জলের নীচে নেমে গেলে ল্যাব্রাডর স্রোতের অস্তিত্ব শেষ হয়। প্রকৃতপক্ষে, ল্যাব্রাডর স্রোতই মেরু অঞ্চল থেকে হিমশৈল বয়ে এনে নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে গ্র্যান্ড ব্যাংক নামে মগ্নচড়া ও মৎস্যক্ষেত্রের সৃষ্টি করে। শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের জন্যই কানাডার উত্তর-পূর্ব উপকূল বছরের প্রায় নয় মাস বরফে ঢাকা থাকে। এই স্রোতের দৈনিক গড় গতিবেগ প্রায় ২৮ কিমি।
Comments
Post a Comment