দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
ক্যালডেরা অথবা জ্বালামুখী গহ্বর
ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত তরল পদার্থ বা ম্যাগমা নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে এসে যে শঙ্কু আকৃতির পর্বত গঠন করে তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। যে ছিদ্রপথের মাধ্যমে ভূগর্ভের ম্যাগমা এবং তার সঙ্গে আগত ছাই, ভস্ম, গ্যাস প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয় সেই উন্মুক্ত ছিদ্রপথকে ‘জ্বালামুখ’ বলে।
প্রতিটি জ্বালামুখ এক একটি নলের মতো পথের মাধ্যমে ভূগর্ভের ম্যাগমা গহ্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। অগ্ন্যুৎপাতজনিত ভূমিকম্পের সময়ে কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের গর্ভ বসে গিয়ে রান্নার কড়াইয়ের মতো আকারে বিশাল ও অগভীর জ্বালামুখের সৃষ্টি হলে আফ্রিকার ক্যানারি দ্বীপের লা-ক্যালডেরা আগ্নেয়গিরিটির নাম অনুসারে তাকে ‘ক্যালডেরা’ বলা হয়। অন্যদিকে, পরবর্তী প্রবল বিস্ফোরণের ফলে আগ্নেয়পর্বতের শঙ্কু আকৃতির শীর্ষদেশ উড়ে গিয়েও ক্যালডেরা সৃষ্টি হতে পারে। আগ্নেয় পর্বতে একাধিক জ্বালামুখ থাকে। এর মধ্যে প্রধান জ্বালামুখটিকে বলা হয় মুখ্য জ্বালামুখ এবং অন্যান্য ছোটোছোটো জ্বালামুখগুলিকে বলা হয় গৌণ জ্বালামুখ।
Comments
Post a Comment