বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1 ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না? (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)
পরিচলন বৃষ্টিপাত
উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু পরিচলন প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বগামী হলে বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঠান্ডা ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিরূপে পৃথিবীপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে, এই রকম বৃষ্টিপাতকেই পরিচলন বৃষ্টি বলে।
পরিচলন বৃষ্টিপাতের কারণ—
(১) নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫°—১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে সূর্য প্রায় সারা বছর ধরে লম্বভাবে প্রখর কিরণ দেয়।
(২) এই অঞ্চলের স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি বলে দিনের বেলা প্রখর সূর্যকিরণের উত্তাপে এই অঞ্চলের জল বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পরূপে বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকে।
(৩) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ শান্তবলয়ের বায়ু প্রধানত ঊর্ধ্বগামী বলে এই অঞ্চলের উষ্ণ ও হালকা বায়ু দ্রুত উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘের সৃষ্টি করে এবং পরে ছোটো-বড়ো জলকণায় পরিণত হয়।
(৪) বড়ো জলকণারা আশপাশের ছোটো জলকণাগুলিকে গ্রাস করে নিয়ে ক্রমশ এত বড়ো হয় যে তারা আর আকাশে ভেসে বেড়াতে না পেরে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পরিচলন বৃষ্টিপাত রূপে নীচে নেমে আসে।
পরিচলন বৃষ্টিপাতের জন্য বায়ুমণ্ডলে যথেষ্ট উষ্ণতা এবং এই উষ্ণতার সাহায্যে বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য প্রচুর জলভাগের প্রয়োজন। যে সকল অঞ্চলে জলভাগ বেশি সেখানে দিনেরবেলায় প্রচণ্ড তাপে প্রচুর জলীয়বাষ্পের সৃষ্টি হয়। জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু হালকা হওয়ায় ঊর্ধ্বগামী হয়। উপরের স্তরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে আর্দ্র বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়। ঘনীভূত মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত ঘটে। এইভাবে পরিচলন প্রক্রিয়ায় শীতল ও শুষ্ক বায়ু অধঃগামী হয় এবং উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু ঊর্ধ্বগামী হলে পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটে।
পরিচলন বৃষ্টিপাত হওয়ার প্রধান এই শর্ত গুলিই পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভালোভাবে পূরণ হওয়ায় নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি হয়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে সারা বছর ধরেই জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় এই অঞ্চলে সারা বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। বিকাল ৪ টে-র কাছাকাছি সময়ে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি নামে বলে, একে 4’o clock Rain-ও বলে। প্রধানত বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত হল পরিচলন বৃষ্টিপাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত শরৎকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
Comments
Post a Comment