প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
বৈপরীত্য উত্তাপ বা উষ্ণতার উক্রম
বৈপরীত্য উত্তাপের কারণ—
(১) ঠান্ডা বায়ু গরম বায়ুর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী। তাই শীতকালে ‘U’ আকৃতির পার্বত্য উপত্যকার উপরের অংশের বাতাস রাত্রিবেলায় তাপ বিকিরণের ফলে খুব ঠান্ডা ও ভারী হয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ওই বাতাস (যা ‘ক্যাটাবেটিক’ বায়ু নামে পরিচিত) পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আস্তে আস্তে নীচে নেমে এসে উপত্যকার নীচের অংশ দখল করে। ফলে পার্বত্য উপত্যকার নীচের অংশ বেশি ঠান্ডা হয় এবং নীচের উষ্ণ বায়ু ওপরে ওঠে। এর ফলে উপত্যকার নীচের অংশের তুলনায় ওপরের অংশে বায়ুর তাপমাত্রা বেশি হয়।
(২) শীতকালীন দীর্ঘ রাত্রিকালে উঁচু পর্বতচূড়ার শীতল, ভারী বায়ু পার্বত্য ঢাল বরাবর নেমে এসে উপত্যকার নীচের অংশ দখল করে।
(৩) ভূপৃষ্ঠ বায়ুমণ্ডলের তুলনায় দ্রুতহারে তাপ বিকিরণ করে বলে ভূপৃষ্ঠ এবং ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুও বেশি শীতল হয়। অন্যদিকে, বায়ুর পরিবহণ ক্ষমতা কম হওয়ায় উপরের স্তরের বায়ু সহজে শীতল হয় না। এই কারণে বৈপরীত্য উষ্ণতার সৃষ্টি হয়। বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য উপত্যকা অঞ্চলে লোকবসতি ও কৃষিকাজ কম হয়, ভোরবেলা উপত্যকাগুলি মেঘে ঢাকা থাকে।
বৈপরীত্য উত্তাপের উদাহরণ—
কোনও শৈলাবাসে (যেমন–দার্জিলিং) গেলে বৈপরীত্য উত্তাপ ব্যাপারটা ভালোভাবে বোঝা যায়। ভোরবেলায় এখানে বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য উপত্যকাগুলি মেঘে ঢাকা থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে উপত্যকাগুলি মেঘমুক্ত হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment