🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
সমুদ্রবায়ু
স্থলভাগ (কঠিন) ও জলভাগ (তরল) এর প্রকৃতিগত পার্থক্যের কারণে দিনরাত্রি ভেদে স্থল ও জলভাগের ওপর তাপ ও চাপের পার্থক্যে এই প্রকার বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়।
সমুদ্র, হ্রদ অথবা বিস্তৃত জলভাগ থেকে যে বায়ু সাধারণত দিনের বেলায় স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে সমুদ্রবায়ু বলে।
সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলভাগ, জলভাগ অপেক্ষা বেশি উত্তপ্ত হয়। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু উত্তপ্ত স্থলভাগের সংস্পর্শে, উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে ওপরে উঠে গেলে স্থলভাগে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। জলভাগ অপেক্ষাকৃত কম উত্তপ্ত হওয়ায় জলভাগের ওপরে বায়ুর চাপ তুলনায় বেশি থাকে। তাই, দিনেরবেলা অপেক্ষাকৃত উচ্চচাপযুক্ত জলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। সমুদ্র থেকে প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ুকে ‘সমুদ্রবায়ু’ বলে।
সমুদ্রবায়ু সাধারণত দিনের বেলায় প্রবাহিত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বায়ুর বেগ বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যাবেলায় সব থেকে বেগে প্রবাহিত হয়ে থাকে। সমুদ্রবায়ুর প্রভাবে সমুদ্রোপকূল বা বিস্তৃত জলভাগের তীরবর্তী অঞ্চলে সমভাবাপন্ন বা নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু দেখা যায়।
Comments
Post a Comment