দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
অ্যালবেডো
সূর্যকিরণ থেকে পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ তাপ আসে তার ৩৪% তাপ মেঘপুঞ্জ, ধূলিকণা প্রভৃতির দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। পৃথিবী থেকে সূর্যরশ্মির প্রত্যাবর্তনের এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে অ্যালবেডো বলে। পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো হল ৩৪%। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের শতকরা ৩৪ ভাগ মহাশূন্যে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে আবার মহাশূন্যে ফিরে যায়, ফলে এরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না। পৃথিবীতে আগত মোট সৌরবিকিরণ ও পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া পার্থিব বিকিরণ—এই দুইয়ের অনুপাত, যা দশমিক বা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়, তাকে পৃথিবীর অ্যালবেডো বা প্রতিফলনতা বলে।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন বস্তুর প্রতিফলনতা বা অ্যালবেডোর পরিমাণ বিভিন্ন রকমের। অ্যালবেডোর পরিমাণ নির্ভর করে—বস্তুর আয়তন, কাঠিন্য, রং, উপাদান, সছিদ্রতা, মসৃণতা ইত্যাদির ওপর। পৃথিবীতে আগত সৌরকিরণের পরিমাণকে ১০০ শতাংশ ধরলে পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো ৩৪%। এর মধ্যে ২ ভাগ ভূপৃষ্ঠ থেকে, ৭ ভাগ বায়ুমণ্ডল থেকে এবং ২৫ ভাগ মেঘপুঞ্জ থেকে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্রতরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কোনো অঞ্চলে অ্যালবেডোর পরিমাণ বেশি বা কম হলে সেখানে বায়ুর উষ্ণতা যথাক্রমে কম বা বেশি হয়।
Comments
Post a Comment