এক নজরে হরপ্পা সভ্যতা - Harappan civilization at a glance আবিষ্কারের সময় : ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ। আবিষ্কারক : রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানি। অবস্থান : সিন্ধুনদের উপত্যকায়। সময়কাল : ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
অ্যালবেডো
সূর্যকিরণ থেকে পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ তাপ আসে তার ৩৪% তাপ মেঘপুঞ্জ, ধূলিকণা প্রভৃতির দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। পৃথিবী থেকে সূর্যরশ্মির প্রত্যাবর্তনের এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে অ্যালবেডো বলে। পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো হল ৩৪%। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের শতকরা ৩৪ ভাগ মহাশূন্যে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে আবার মহাশূন্যে ফিরে যায়, ফলে এরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না। পৃথিবীতে আগত মোট সৌরবিকিরণ ও পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া পার্থিব বিকিরণ—এই দুইয়ের অনুপাত, যা দশমিক বা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়, তাকে পৃথিবীর অ্যালবেডো বা প্রতিফলনতা বলে।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন বস্তুর প্রতিফলনতা বা অ্যালবেডোর পরিমাণ বিভিন্ন রকমের। অ্যালবেডোর পরিমাণ নির্ভর করে—বস্তুর আয়তন, কাঠিন্য, রং, উপাদান, সছিদ্রতা, মসৃণতা ইত্যাদির ওপর। পৃথিবীতে আগত সৌরকিরণের পরিমাণকে ১০০ শতাংশ ধরলে পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো ৩৪%। এর মধ্যে ২ ভাগ ভূপৃষ্ঠ থেকে, ৭ ভাগ বায়ুমণ্ডল থেকে এবং ২৫ ভাগ মেঘপুঞ্জ থেকে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্রতরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কোনো অঞ্চলে অ্যালবেডোর পরিমাণ বেশি বা কম হলে সেখানে বায়ুর উষ্ণতা যথাক্রমে কম বা বেশি হয়।
Comments
Post a Comment