নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
অ্যালবেডো
সূর্যকিরণ থেকে পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ তাপ আসে তার ৩৪% তাপ মেঘপুঞ্জ, ধূলিকণা প্রভৃতির দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। পৃথিবী থেকে সূর্যরশ্মির প্রত্যাবর্তনের এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে অ্যালবেডো বলে। পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো হল ৩৪%। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের শতকরা ৩৪ ভাগ মহাশূন্যে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে আবার মহাশূন্যে ফিরে যায়, ফলে এরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না। পৃথিবীতে আগত মোট সৌরবিকিরণ ও পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া পার্থিব বিকিরণ—এই দুইয়ের অনুপাত, যা দশমিক বা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়, তাকে পৃথিবীর অ্যালবেডো বা প্রতিফলনতা বলে।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন বস্তুর প্রতিফলনতা বা অ্যালবেডোর পরিমাণ বিভিন্ন রকমের। অ্যালবেডোর পরিমাণ নির্ভর করে—বস্তুর আয়তন, কাঠিন্য, রং, উপাদান, সছিদ্রতা, মসৃণতা ইত্যাদির ওপর। পৃথিবীতে আগত সৌরকিরণের পরিমাণকে ১০০ শতাংশ ধরলে পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো ৩৪%। এর মধ্যে ২ ভাগ ভূপৃষ্ঠ থেকে, ৭ ভাগ বায়ুমণ্ডল থেকে এবং ২৫ ভাগ মেঘপুঞ্জ থেকে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে ক্ষুদ্রতরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কোনো অঞ্চলে অ্যালবেডোর পরিমাণ বেশি বা কম হলে সেখানে বায়ুর উষ্ণতা যথাক্রমে কম বা বেশি হয়।
Comments
Post a Comment